১৪ কোটি শিশু বিদ্যালয়ের প্রথম দিনের অপেক্ষায়
মঈন উদ্দিন হেলালী তৌহিদঃ বিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি প্রত্যেক শিশু ও তার অভিভাবকদের জন্যে
একটি স্মরনীয় ঘটনা। বিদ্যালয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিটি শিশুর শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়।
অথচ করোনা মহামারীর জন্যে এই প্রথম দিনের অপেক্ষায় পুরো বিশ্বের প্রায় ১৪ কোটি শিশু।
এই অপেক্ষার প্রহর বাড়ছেই। সম্প্রতি জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের একটি প্রতিবেদনে
এই তথ্য উঠে আসে।
গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা কোভিড-১৯ কে বিশ্ব মহামারী হিসেবে ঘোষণা করলে অনির্দিষ্টকালের জন্যে পুরো বিশ্বের
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। উন্নত দেশসহ প্রায় সব দেশ অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে
গেলেও বাংলাদেশসহ যেসব দেশ করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খেয়েছে তাদের জন্যে অনলাইন শিক্ষাপদ্ধতি
ছিলো বড় বাঁধা। এর ফলে অধ্যয়নরত সকল পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার মানসিক যন্ত্রনার
শিকার হচ্ছে।
করোনার প্রায় দেড় বছর পরে ভ্যাক্সিনের
আবিষ্কার এবং এর সফল মোকাবিলার পর কিছু কিছু
দেশ স্কুল-কলেজ চালু করলেও, অনেক দেশেই এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। তাই এই দীর্ঘ অপেক্ষা নিয়ে উদ্বেগ
জানিয়েছে ইউনিসেফ সংশ্লিষ্ট কর্তারা।
ইউনিসেফের প্রতিনিধি টমু হোজুমি বলেন, “স্কুল বন্ধ এবং ক্লাসরুমে শিক্ষাদান ও শেখার ক্রিয়াকলাপের অভাব
শুধুমাত্র শিশুদের শিক্ষার উপরই নয়, তাদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং মনোসামাজিক
সুস্থতার উপরও অত্যন্ত গুরুতর প্রভাব ফেলে।" তিনি আরো বলেন, ”প্রান্তিক শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে যা তাদেরকে
ভবিষ্যতে দারিদ্র্য এবং অসমতার দিকে ঠেলে দেবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যদি
নিরাপদভাবে স্কুল খোলার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেই তবে আমাদের আজকের সিদ্ধান্তগুলি এই
শিশুদের সারা জীবন প্রভাবিত করবে।”
পুরো বিশ্ব জুড়ে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্যে বিদেশে পড়াশোনা করছে। করোনার কারনে অনেকেই নিজ দেশে ফিরে এসেছে। এদের মধ্যে অনেকে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, পিএইডি ও গবেষণার শিক্ষার্থী হলেও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যা তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ভ্যাক্সিন আবিস্কার হওয়া ও করোনা নিয়ন্ত্রনের পর থেকেই পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্যাক্সিনেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্যে ভিসা চালু করে দিলেও চীন, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ যেখানে প্রচুর
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।