স্মৃতির পাতায় মাধ্যমিক পরবর্তী কিছু মুহূর্ত
অজয় কান্তি মন্ডল: উত্থান-পতন, ঘাত-প্রতিঘাত,
সফলতা-ব্যর্থতা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, আনন্দ-বেদনা সবকিছুই মানব জীবনের
অবিচ্ছেদ্দ্য উপাদান। সকলের জীবনে পরস্পর বিপরীতধর্মী এই উপাদানগুলো একে অপরের
আবর্তে আবর্তিত হলেও জীবনে চলার পথে বহু স্মৃতি আছে যেগুলো আজীবন মনের গভীরে গেঁথে
থাকে। আজকের লেখনীতে মাধ্যমিক পরবর্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগ মুহূর্তে
ঘটে যাওয়া তেমনই কিছু ছোট ছোট স্মৃতি শেয়ার করব।
মাধ্যমিক পাশের পর সাতক্ষীরা
সরকারী কলেজে ভর্তি হব বলে মনস্থির করলাম। আমার মামা
তখন খুলনার সরকারী বি.এল. কলেজ থেকে রসায়নে মাস্টার্স শেষ করেছেন। সমসাময়িক
বিষয়গুলো নিয়ে মামা ভালোই জানতেন। এজন্য পড়াশুনার বিষয়ে বাবা, কাকাদের চেয়ে মামা
একটু বেশি খোঁজ খবর নিতেন। মামা ভেবে চিন্তে আমাকে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে ভর্তি
করিয়ে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। সাতক্ষীরা শহর তখনও আমার কাছে অচেনা। তাই খুলনা থেকে মামা এসে ভর্তির
ফর্ম তুলে দিলেন। সেগুলো পূরণ করে জমা দিলাম। ১৫ দিন পরে ভর্তি পরীক্ষা ছিল। মামা বলেছিলেন
ভর্তি পরীক্ষার সময় উনি আবার আসবেন। আমি যেন সময়মত ক্যাম্পাসে চলে আসি এবং নির্ভয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিই। কিন্তু বেশ কিছু কারনে আমার
সাতক্ষীরায় ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। মামা পরীক্ষার দিন এসে আমাকে না পেয়ে অপেক্ষা
করে আবার খুলনায় চলে গেলেন। মোবাইল না থাকায় মামাকে আগে জানানো সম্ভব হয়নি। অবশেষে থানা শহরে
অবস্থিত আশাশুনি ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হলাম।
কলেজ জীবন সংক্ষিপ্ত হওয়ায়
সেখানকার স্মৃতিও খুব কম। তবে নিয়মিত ছাত্র থাকায় এবং আশানুরূপ ফলাফল করায় শিক্ষকদের আদর স্নেহ ও
ভালোবাসার কোনরকম কমতি ছিলনা।
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।