চীনা নববর্ষ
শীতকালীন অয়নের (২১ ডিসেম্বর) পর দ্বিতীয় নতুন চাঁদ ওঠার মধ্য দিয়ে চান্দ্র নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়। ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেকোনো একটি তারিখে এ নববর্ষ হতে পারে। চন্দ্র নববর্ষের এ উৎসব বসন্তকালীন উৎসব নামেও পরিচিত যা দেশটির সবচেয়ে বড়ো উৎসব।
খ্রিষ্টপূর্ব ১৪ শতকে চীনা নববর্ষ উদযাপনের এই ধারাটি চলে আসছে। তখন শাং রাজবংশ চীন শাসন করত। চন্দ্র নববর্ষের উৎপত্তি নিয়ে অনেক মত প্রচলিত রয়েছে। একটি মত অনুযায়ী বলা হয়, নিয়ান (বছর) নামের এক দানব প্রতিবছরের শুরুতে গ্রামবাসীর ওপর আক্রমণ চালাতো। তবে হট্টগোল, উজ্জ্বল রঙের আলো এবং লাল রং ভয় পেত নিয়ান। আর মানুষ এগুলোকে ব্যবহার করে নিয়ানকে তাড়াতো। তখন থেকে চীনে ড্রাগনকে শক্তি আর সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। আর এজন্যই নববর্ষ উদযাপনের সময় চীনের রাস্তায় রাস্তায় ড্রাগনের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা এবং আতশবাজির ঝলকানি হইহুল্লর করা হয়ে থাকে। পুরোনো বছরের দুর্ভাগ্যগুলো মুছে ফেলতে নববর্ষে লোকজন তাঁদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করেন।
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।