চীনের মহান গার্ডিয়ান সিংহ : ইতিহাস, সাংস্কৃতি এবং পৌরাণিকতা
আপনি চীনে ছিলেন কিংবা চীনা সিনেমা বা নাটক দেখেছেন কিন্তু পাথর কিংবা ব্রোঞ্জ এর তৈরি সিংহের ভাস্কর্য দেখেননি তা একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার। কারণ, এগুলো সংখ্যায় এতই বেশি যে, আপনি চীনের রাস্তায় চলার পথে ১০০ মিটারের মধ্যে দু-একটা সিংহের ভাস্কর্য চোখে পড়বেই। এই সিংহের ভাস্কর্য চীনাদের কাছে গার্ডিয়ান সিংহ বা অবিভাবক সিংহ নামে পরিচিত। এই ভাস্কর্যগুলো কেবলমাত্র ঐতিহাসিকভাবে বা চীনা সংস্কৃতির একটি স্বতন্ত্র্যসূচক দিক হিসাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং চীনা শিল্পকর্মের সৃজনশীলতারও বড় নিদর্শন। আজ আমি আপনাদের সাথে চীনা গার্ডিয়ান সিংহের ইতিহাস, সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং পৌরাণিকতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব, যা এরপর চীনে চলার পথে যখনই এই ভাস্কর্য আপনাদের চোখে পরবে, তখনই আপনাদেরকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে এটি দেখতে ও বুঝতে সাহায্য করবে।
চীনা ভাষায় এই সিংহের ভাস্কর্যকে শিশি (石狮) বলা হয়ে থাকে। চীনে সিংহের জন্য সাধারণত “শি” শব্দটি ব্যবহৃত হয়, আর "পাথরের সিংহ" এর জন্য “শিশি” শব্দ ব্যবহৃত হয়। কিছু নৃতত্ত্ববিদ বিশ্বাস করেন যে, সিংহের জন্য চীনা “শি” শব্দটি ফার্সি শব্দ “সের” থেকে এসেছে। ইংরেজিতে, এরা "Foo dogs" বলে পরিচিত। কারণ হয়তোবা, পশ্চিমারা খুব বেশি কুকুর পছন্দ করে তাই। তবে চৌ চৌ (Chow Chow) নামের এক ধরনের কুকুরের জাত রয়েছে যা ঠিক সিংহের মতোই দেখতে। Foo শব্দটি সম্ভবত Fe (佛) থেকে অনুবাদ, যার অর্থ বুদ্ধ, বা Fu (福), যার অর্থ সৌভাগ্য। জাপানি ভাষায় এদেরকে বলা হয় কোমাইনু (Komainu)। এছাড়াও কোরিয়া এবং অন্যান্য এশীয়ান দেশগুলিতে চীনা সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের সংস্কৃতিতে একই রকম কিছু ভাস্কর্য রয়েছে। যদিও তাদের অভিভাবক সিংহ দেখতে কিছুটা আলাদা।
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।