মহামারী ও চীন: বিদেশী শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্বিক অবস্থা ও চীনের বর্তমান প্রেক্ষাপট
একবিংশ শতাব্দিতে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে সকল সমস্যা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিয়েছে তার মধ্যে ২০২০ এর করোনা মহামারী বিশ্বের জন্য এক অন্ধকার সময় বয়ে এনেছে, যার শেষ কবে তা এখনো কারো জানা নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার অবনতি, বিশ্ব অর্থনৈতিক অচলাবস্থা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় ও স্থিতিশীলতার অভাব পৃথিবীকে একটি বড় চ্যালেঞ্জের এর সামনে দাঁড় করিয়েছে। ২০২২ সালে এসেও আমাদের এই সমস্যাগুলো দূর হয়নি। বরং নতুন সমস্যা আবির্ভাব হয়েছে যার প্রেক্ষাপট আমাদের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে এটা একবাক্যে বলা যায়।
চীন বরাবরের মতো করোনার বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ বজায় রেখেছে। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও তার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অন্য যে কোন দেশের চেয়ে চীন এই সমস্যা সফলতার সাথে মোকাবেলা করতে পেরেছে। গণটিকা ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত জনগনের স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন ও করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাম্প্রতিক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর প্রভাব ও নগণ্য মৃত্যু হার এ প্রমাণ করে দেয় চীনের জিরো টলারেন্স নীতির কার্যকারিতা ব্যাপ্যারে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সাম্প্রতিক চিত্র দেখলে বুঝা যায় চীন তাদের জিরো টলারেন্স নীতিতে বদ্ধপরিকর। চীনা জনগন ও চীনে অবস্থানকারী সবার নিরাপত্যার জন্য তারা সবকিছু করতে প্রস্তুত। এখন পরযন্ত (৯মে, ২০২২) ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর ১৫টি নতুন কেস ও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য কেস প্রায় ৩,৯১৮ জন।
(সোর্স:http://www.nhc.gov.cn/xcs/yqtb/202205/fba738cd4a134897b38ff4b87eb5fb5a.shtml)
আমার লেখার উদ্দেশ্য মোটেও চীনের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির উপর নয়। বরং এর কারনে একটি বড় সংখ্যক বিদেশী শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্বিক অবস্থা ও তাদের চীনে প্রত্যাবর্তন নিয়ে যে ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে তাই নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
দীর্ঘদিন দিন ধরে করোনার কারণে দেশে আটকে পরা বাংলাদেশী ও অন্যান্য দেশের বিদেশী শিক্ষার্থীদের নানা রকম জটিলতার মধ্যে দিয়ে পার করতে হচ্ছে। অনলাইন ভিক্তিক শিক্ষাব্যবস্থা যেমনি হোক না কেনো তা কখনই যথেষ্ঠ নয়। বিশেষ করে মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা যেখানে ব্যাবহারিক বিষয়, সেখানে অনলাইন ব্যবস্থা কখোনই তার বিকল্প হতে পারে না। একই সাথে তাদের ইন্টার্ণশিপও অনিশ্চিত। যার ফলে তারা ক্রমান্বয়ে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ছে যা ভাবনার বিষয়। পিএচডি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এটি একেবারে বলাই বাহুল্য।
সমসাময়িক একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, শুধুমাত্র বাংলাদেশী শিক্ষার্থী প্রায় তিনহাজার চীন-ফেরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে তাদের চীনে ফেরত যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। (সোর্স – The Daily star)
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।