চীনের একটি পাহাড়ি পরিবারের গল্প
পাহাড়ের মধ্যমনি চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের রাজধানী ‘ফুজো’ শহর। শহরে চলার পথে চারদিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আকাশচুম্বী সুউচ্চ পর্বতমালা সকলকে ভালোভাবে জানান দেয় শহরটিও একসময় পাহাড়ের দখলে ছিল। এই ফুজো শহরের একেবারে শেষ প্রান্তেই আমাদের বসবাস। আমাদের বলতে আমি, আমার স্ত্রী ও আমার ছয় বছরের মেয়ে ‘অন্তু’। আমাদের বসবাসের কমিউনিটিটি পাহাড়ের একেবারে কাছাকাছি হওয়ায় বাসার দুইপাশের খোলা বেলকনি দিয়ে চোখ রাখতেই ধরা দেয় পাহাড়ি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা, মাঝরাত থেকে শেষরাত সকল সময়ে পাহাড়ি প্রকৃতির এমন অপরূপ লীলা মনে এনে দেয় স্বপ্নিল এক অনুভূতি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ ঋতুতে পাহাড়ি প্রকৃতি যেন আবির্ভূত হয় একান্তই তার নিজস্ব কিছু রূপে। রৌদ্রজ্জ্বল দিনে যেমন নীল আকাশে সাদা মেঘের সাথে পাহাড়ের খুনসুটি ঠিক তেমনি বৃষ্টির দিনে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত কালো মেঘের ঘনঘটা মাঝেমধ্যে মনকে নিয়ে যায় অসীম কল্পনার রাজ্যে।
আমাদের বসবাসের কমিউনিটিটি ভালো লাগার বেশ কিছু কারণের মধ্যে অবাধে এমন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন অন্যতম একটি কারণ। এই কমিউনিটির পরে আর কোন কমিউনিটি নেই। কিন্তু এর পরেও পাহাড়ি প্রকৃতিকে ঘিরে বহু মানুষের বসবাস রয়েছে। সময় পেলেই আমরা বেরিয়ে পড়ি কিছুটা অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে। কেননা, শৈশব থেকেই কাদামাটি মেখে বেড়ে ওঠা গ্রাম্য প্রকৃতি বরাবরই আমাদের খুব ভালো লাগে। তাই শহরের উল্টো দিকে অবস্থিত এসব গ্রামের পানে আমরা নিয়ত ছুটে চলি। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের আশাপাশের পাহাড়গুলোর পাদদেশ বা চূড়ার কাছাকাছি অবস্থিত গুচ্ছ গ্রামের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করা মানুষগুলোর হাল-হকিকত আমরা স্বচক্ষে বহুবার পর্যবেক্ষণ করেছি।
ঠিক তেমনই একদিন হাজির হয়েছিলাম আমাদের বাসা থেকে প্রায় ২৫ কি.মি. দূরে পাহাড়ের বেশ গভীরে অবস্থিত একটি গ্রামে। বাহন হিসেবে আমাদের ই-বাইক সঙ্গী হয়েছিল। বরাবরের মত সেদিন বের হলেও উদ্দেশ্য ছিল লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন ও দূরবর্তী চীনাদের গ্রাম্য পরিবেশ, দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা একটু ভারী করা। সেজন্য একটু বেশি সময় হাতে নিয়েই সেদিনের যাত্রা।
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।