গুয়াংজুতে কোয়ারেন্টাইনের দশ দিন
আজ আমার দশ দিনের গুয়াংজু কোয়ারেন্টাইন শেষ হলো। কোয়ারেন্টাইন
দিনগুলোর অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতেই এই লেখা লিখছি৷
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১:০০ টায় আমার ফ্লাইট ছিল। দুই-আড়াই
ঘন্টা আকাশভ্রমণ শেষে গুয়াংজু এয়ারপোর্টে অবতরণ করি৷ তারপর ইমিগ্রেশনসহ আরও কিছু ফর্মালিটিজ
শেষে আমরা সবাই পূর্ব নির্ধারিত বাসে উঠি৷ গন্তব্য, কোয়ারান্টাইন
হোটেল৷
সেখানে পৌঁছানোর পর দেখলাম, বাস থেকে একসাথে পাঁচ জনের বেশি নামতে দিচ্ছে না। মনে মনে ভাবছি,
এ আবার কী মুসিবত! সৌভাগ্যক্রমে, আমিসহ আমার
বন্ধুরা প্রথমেই নেমে যাই। এরপর, হোটেলের নিয়মানুযায়ী আমাদের
কিছু দাপ্তরিক কাগজপত্রে সাক্ষর করতে হয়৷
এরপরের কাজ হলো রুম সিলেকশন৷ ভাড়া অনুযায়ী আমাদের রুম পছন্দ
করতে বলা হয়৷ যদিও সবাই এই সুবিধা পায়নি৷ আমরা প্রথমে নেমে যাওয়ায় এই সুবিধা পেয়েছিলাম৷
আর ততক্ষণে অনেক রুমই বুকড হয়ে গিয়েছিল৷
প্রতিদিন ৫২৮ অথবা ৬৮৮ অথবা ৮৮৮ ইউয়ান ভাড়া—এই তিন ক্যাটাগরির
রুম ছিল। আমি প্রথম ক্যাটাগরি অর্থাৎ, প্রতিদিন ৫২৮ ইউয়ান
ভাড়া, উক্ত রুম পছন্দ করি৷ (১০ দিনের জন্য খরচ হবে,
৫২৮*১০= ৫২৮০ ইউয়ান)৷
কোয়ারেন্টাইন হোটেলটি বেশ ছিমছাম। ছিল ২৪ ঘণ্টার আনলিমিটেড ইন্টারনেট সুবিধা। রুমে খাবারের পানিসহ কেতলি, মগ, হেয়ার-ড্রায়ার, তোয়ালে, গোসলের সাবান,শ্যাম্পু, টুথব্রাশ, টুথ পেস্ট, চিরুনি ইত্যাদি রাখা ছিল। এক কথায় দারুণ আয়োজন৷ যাবতীয় যা যা দরকার, সবই তারা রেখেছে। যদিও এসবের ভীড়ে আমার মন কেড়েছিল, রুমের জানালা থেকে চোখে পড়া উন্নত শহরের দৃশ্য৷
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।