শহুরে প্রকৃতি
শহুরে প্রকৃতি
শিরিন আক্তার
আচ্ছা! বিলের ধারে ঝিলের পাশে সেই মাঁদার গাছ টা কি এখনও আছে!
যার মগ ডালে বসে প্রতিদিন দুটো শালিক পাখি খুনশুটি করতো।
আর সেই লম্বা আকাশ ছোঁয়া তাল গাছটা, যার আগায় ছিলো অফুরান্ত বাবুই পাখির বাসা।
বাড়ির অদূরে বাবুদের আম বাগান টা কি এখনও আছে?
ভোর রাতে আম কুড়ানোর উত্তেজনায় ঘুমটা হতো না যে।।
শুনতাম রাতের বেলা সেখানে পুকুর পাড়ে ভুঁতেরা কাপড় কাঁচে।
মা বলতো ওখানে যাসনে খুকি আম কুড়াতে।
কে শোনে কার কথা, চাঁদনী রাতে চুপি চুপি চলে যেতাম দলেবলে।
আচ্ছা! গোধূলি লগ্নে গাঁয়ের রাখাল ছেলেটা কি এখনো বাঁশি বাজিয়ে ঘরে ফেরে, আজানের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যেতো যে অজপাড়া গায়ে।।
শুনেছি সে বিল ভোরে গেছে লোনা জলে, তাল গাছ হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে।
হয়তো শালিক পাখি এখনও আসে, তবে মাদার গাছ টা!
বাবুই, সেতো বিলুপ্ত প্রায়!
সেদিনের সেই রাখাল বালক, জিবীকার সন্ধানে গ্রাম ছেড়েছে ঠিকি, কিন্তু বাঁশি বাজানো ভোলেনি।
শুধু সময়টা আর হয়ে ওঠে না তার এই ব্যস্ত শহরের যাতাকলে।।
আচ্ছা! নানাবাড়ির উঠানের সেই শিউলি গাছটা? কিংবা মসজিদে পাশের সেই বকুল গাছটা কি আছে?
প্রতিদিন ভোরে মালা গেঁথে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার দিন টা বোধহয় আর কোনদিন ফিরবে না!
প্রকৃতি আছে আগের জায়গায় শুধু ভাবটা আজ শহুরে,
আর মানুষ গুলো নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার নেশায় মত্ত এই ব্যস্ত জনজীবনে ।।
কবি:
পিএইচডি শিক্ষার্থী
চাইনীজ একাডেমি অব এগ্রিকালচারাল সাইন্স, হাংজু, জেজিয়াং, চীন।
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।