দ্যুতির আগে
কে.এম.আতিকুর রহমান, সাংহাই, চীন থেকে। ১ নভেম্বর ২০১৯, আমি একটি সনদ পুরস্কার পেলাম। সনদটি এলো “২য় আন্তর্জাতিক পিএইচডি গবেষক সম্মেলন ন্যানজিং, চীনে এক্সিলেন্ট পেপার উপস্থাপনার জন্য। এটিকে হয়তো প্রকৃত অর্থে তেমন কোনো অর্জন নয় কিন্তু এই প্রক্রিয়াটিতে আমার প্রিয় বাংলাদেশের নামটি জড়িয়ে ছিল। তাই কিছুটা হলেও এটির একটি অর্জনগত মূল্য আছে। আর এ কারণেই সামান্য এ অর্জনকে আমি উৎসর্গ করলাম বাংলার কিষান-কিষানীদের পদতলে; সমর্পন করলাম ৫২টি লাশসহ ২০,০০০ রেমিটেন্স বীরদের অশ্রুজলে; যারা গত ১০ মাসে খালি হাতে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে। তারা সন্তানের চোখে পরাজিত আজ। অথচ এই বীরদের অশ্রু আর রক্তের অমসৃণ পথেই আমার মেয়ে আড়ং কিংবা দারাজ এ আল্ট্রা-মডার্ন লেহেঙ্গা খোঁজে। কারণ ঐ যে, আমার সাকুল্য বেতনটিই তো আসে এই বীর কিষান-কিষানীদের রক্তমিশ্রিত ঘামের নহর থেকে। জানি কোনোদিনও কিছুই করতে পারবোনা তোমাদের তরে, তাই এই উৎসর্গ খেলার সহজ ও চাতুর্যপূর্ণ দিকটিই বেছে নিলাম। "স্যালুট তোমায়, ক্ষমিও আমায়।"
আমি সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র। যদি বলি, আমার কিষান-কিষানী মা-বাবার ঘর্মাক্ত ইচ্ছাটিই এখানে আসার মূলধন হিসেবে কাজ করেছে, তবে কী তা অত্যুক্তি হবে? আমি মনে করি, অবশ্যই না। কারণ আমার মা-বাবার উদয়াস্ত ঘানি টানার মুহুর্তগুলো আমি জানি। এখানেই সনদের খোরাক ছিল।
দুঃখ-সে তো সুখেরই মূলধন। জীবনের উষালগ্নের এক দুঃখমালার উপাখ্যানই আজ আমাকে এই নুরিকনা সংগ্রহের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। দুঃখ, তোমায় সালাম। গবেষণার জন্য দরকার ছোট ছোট আইডিয়া বা কনসেপ্ট। আর ছোট ছোট এই আইডিয়াই প্রসব করে বড় আইডিয়া। এখান থেকেই " ক্রিটিকাল থিংকিং" এর জন্ম হয়, যা গবেষণাপত্রে পরিণত হয়। আসলে গবেষণা এটিই। এই আইডিয়া, কনসেপ্ট আর ক্রিটিকাল থিংকিং শক্তিটা প্রকৃতপক্ষে এনেই দিয়েছে আমার ঐ দুঃখমালার উপাখ্যান। দুঃখ ম্যানেজ করতে গিয়েই আমাকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ঐ সকল ছোট ছোট আইডিয়ার। সময়কাল ছিল ৯০এর পূর্ণ দশক। নমস্কার, দশক তোমায়।
এক সময় "বেশি চিন্তা" ছিলো আামার মানসিক
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।