যখন একজন মানুষই একটা দেশ
ফারহানা শুচিঃ "যখন একজন মানুষই একটা দেশ" কথাটা শুনতে কেমন যেন অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে তাই না? বাস্তবিক অর্থে এটা কি করে সম্ভব!
সম্ভব, অবশ্যই সম্ভব। একটু চিন্তা করে দেখুন তো যখন একজন মানুষ দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশের সীমানায় পা রাখে, তখন সে নিজের সাথে কি নিয়ে আসে বা যায়?
ভেবে পেয়েছেন কিছু? আপনি যদি ভেবে থাকেন সে তার প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আসে বা যায়। হ্যাঁ কথা সত্য। কিন্তু আর একবার ভেবে দেখুন তো সত্যিকার অর্থে কি নিয়ে আসে বা যায়? যদি আমি বলি দেশ! অবাক হলেন কিছুটা? বুঝিয়ে বলছি-
আমরা যখন দেশ ছাড়ার জন্য বিমানে উঠি তখন দেশ আমাদেরকে দেশ ছাড়ার অধিকার দিয়ে একটা পাসবই হাতে দেয় যাকে আমরা পাসপোর্ট বলে থাকি। পৃথিবী একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া যেটা ছাড়া সম্ভব নয়। দেশে থাকা অবস্থায় আমাদের নামের আগে কখন ও দেশের নাম বসাতে হয় না। কিন্তু দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশে যাবার সাথে সাথে আমাদের নামের আগে বা পিছে দেশের নাম যুক্ত হয়ে যায়। ঠিক যেমন করে পরিবারের নাম জুড়ে থাকে আমাদের সাথে। দেশের বাইরে একজন মানুষের প্রথম পরিচয় হয় তার দেশের নামের মাধ্যমে। মঞ্চ থেকে মাঠ, জনশুণ্য থেকে লোকালয় সবখানেই আমাদের বর্ণ, ভাষা বা সংস্কৃতি সব কিছু থেকে প্রথমেই উঠে আসে দেশের নাম। ব্যক্তি আমি বা আপনি কেউ একজন যখন দেশের বাহিরে কোন ভাল কাজ করি বা খারাপ কাজ করি। তখন কে করেছে কাজটা? এই প্রশ্নের উত্তরে যা সবার আগে আসে তা হল দেশ। একজন অমুক দেশী মানুষ এই কাজ করেছে। এই জন্য হয়ত বলা হয় দেশের বাইরে থাকা প্রতিটি নাগরিকই এক একজন অ্যাম্বাসেডর, যার উপর দেশের ভাবমূর্তি নির্ভর করে।
ভেবে দেখেন, যখন
কোন দেশের ক্রিকেট বা ফুটবল টিম মাঠে নামে তারা সংখ্যায় কিন্তু মাত্র ১১ জন হয়ে থাকে।
তবুও তাদের হার জিত হয় গোটা দেশের জন্য। তাহলে তাদের একটা টিমই কি একটা দেশ নয়? কোন
সুন্দরী প্রতিযোগীতায় যখন কোন একটা মেয়ে যায়,
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।