বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে
অজয় কান্তি মন্ডল: ‘বঙ্গবন্ধু' যে উপাধিতেই ব্যক্তিত্বের পরিচয় মেলে। ছোট থেকেই নির্ভীক আর সাহসিকতার একজন মূর্ত প্রতীক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। যিনি সবসময় সত্য ও ন্যায়ের কথা বলেছেন এবং ন্যায়ের পথে চলেছেন। অন্যায় অবিচারের বিপক্ষে যিনি দিয়ে গেছেন সর্বদা বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জের পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম বাংলার এই মহানায়কের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিশোর থেকে কখনও পিছপা হননি নায্য কথা বলতে। সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছেন বীরদর্পে। তিনি ভীতি ও অত্যাচারের মুখেও শোষিত মানুষের অধিকারের আদায়ের সংগ্রামে সচেষ্ট থেকেছেন সর্বক্ষণ। অত্যাচার এবং অনাচারের প্রতিটি মুহূর্তে সংগ্রামী জীবন পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বাঙালীর প্রতিটি নায্য অধিকার আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক। আর সেজন্য শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে নির্ভীক অবস্থানের কারণে তিনি বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পান। তাঁর সমগ্র জীবনে একটিই ব্রত ছিল, বাংলা ও বাঙালির মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা।
বঙ্গবন্ধু
দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন বহুবার। একাধিকবার তিনি
নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। একাধিকবার ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর
জন্য।বাঙালির প্রতি তার বিশ্বাস ও আস্থা ছিল আকাশচুম্বী। আর সেজন্যই হাসিমুখে, নির্ভীকচিত্তে
মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সব ধরনের জুলুম ও নির্যাতন বরণ করেছেন, সােনার বাংলার
স্বপ্ন সারথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু একটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিবাদী
ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি ত্বত্তের
ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর অন্ধকারের অতল গহীনে ডুবতে থাকা বাঙালি জাতির
মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় আবির্ভূত হয়ে নায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু
দিয়ে গেছেন একের পর এক নেতৃত্ব। পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই রাষ্ট্র
কাঠামাের মধ্যে আমরা বাঙালিরা নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত হবে।
সেই ধারাবাহিকতায়
বাঙালি জাতির উপর একের পর এক আঘাত হানে পাকিস্তানি শাসক বাহিনী। যার ফলশ্রুতিতে বাঙালি
জাতির ইতিহাসে খচিত হয় ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ এর সামরিক
শাসনবিরােধী আন্দোলন,
১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৪ এর সম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।