ক্যান্টন মেলার ১২৯তম আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনলাইনে
আবু সাঈদঃ বিশাল
আয়তন আর বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করে চীন দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে
চীন শিল্প এবং কৃষি উভয় খাতে বিপ্লব ঘটিয়ে পৃথিবীর অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে
নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিয়েছে। নিত্যনতুন উদ্ভাবন আর টেকনোলজি দিয়ে দখল করে
নিয়েছে বিশ্ব বাজার। স্বল্পমূল্যে যেকোন ধরনের সামগ্রী ও টেকসই পণ্য যোগান দিয়ে আজ
আধিপত্য করছে বিশ্ব বাজারে। চীনা পণ্যের বহুল চাহিদার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক
পরিমন্ডলের সাথে চীনাদের সুসম্পর্ক এবং যোগাযোগ দৃঢ় করার লক্ষ্যে ১৯৫৭ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত
হয় ক্যান্টন ফেয়ার।
চীনের গুয়াংজু (মান্দারিন: কুয়াংচৌ) শহরে প্রতি বছর বসন্ত
ও শরৎকালে অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। এটা চীনের সর্বপ্রাচীন, বৃহত্তম এবং সর্বাধিক ব্যবসা প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাণিজ্য মেলা।
২০০৭ সালে চীন আমদানি ও রপ্তানি মেলা নামে এর নামকরণ করা হয়। যা চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ও গুয়াংদং (মান্দারিন: কুয়াংতুং) প্রদেশের
সরকার যৌথভাবে আয়োজন করে। চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপো ব্যুরো এবং ন্যাশনাল
এক্সিবিশন এন্ড কনভেনশন সেন্টার (সাংহাই) কোং লিমিটেড মেলাটি পরিচালনা করে। বিশ্ব বাণিজ্য
সংস্থা, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলন, জাতিসংঘের
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা এবং
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র উক্ত মেলাটির সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০-এর ক্যান্টন ফেয়ারের বসন্তকালীন অধিবেশনের প্রথাগত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। যার ফলে মেলাটির ১২৭তম আসর বাতিল করে ১২৮তম আসর অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়। এবছরও মেলাটির ১২৯তম আসর ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ( https://www.cantonfair.org.cn/en/news/article/6052f3cee506914a281f3138 ) ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্যান্টন মেলা গুয়াংজুর পাজৌ দ্বীপে অবস্থিত ক্যান্টন ফেয়ার
কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম কনভেনশন সেন্টার এবং বিশ্বের বৃহত্তম
প্রদর্শনী হল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ক্যান্টন মেলার জাতীয় প্যাভিলিয়নকে ১৬টি বিভাগে
ভাগ করে ৫০টি স্তরে প্রদর্শন কার্য চালানো হয়। মেলাটিতে চব্বিশ হাজারেরও বেশি চীনা
শীর্ষস্থানীয় বৈদেশিক বাণিজ্যিক কর্পোরেশন অংশ নেয়। এই মেলায় আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও
ব্যবসায়িক নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মেলাটি প্রতি বছর দুটি অধিবেশনে তিনটি
ধাপে সম্পন্ন হয়। বসন্তকালীন অধিবেশন ১৫ এপ্রিল শুরু হয়ে তিনটি ধাপে ৫ মে পর্যন্ত চলে।
শরৎকালীন অধিবেশন ১৫ অক্টোবর শুরু হয়ে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। পৃথিবীর প্রায় ২০০টিরও
অধিক দেশ থেকে ৩ লক্ষাধিক ক্রেতা মেলায় অংশ নেন। মেইড ইন বাংলাদেশ খ্যাত ওয়ালটন ২০১৬
সালে প্রথম বারের মতো এ মেলায় অংশ নেয়।
লেখকঃ
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অটোমেশন,
চাংশা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
চাংশা, হুনান, গণচীন।
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।