চীনে করোনাকালীন ভ্রমন ও কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা
অজয় কান্তি মন্ডলঃ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একটা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে যোগ দিতে একবার দেশে গিয়েছিলাম। এর পরে ফুজিয়ান প্রদেশের বাইরে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। যার প্রধান কারন ছিল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। বেশ কিছু কনফারেন্সে যাওয়ার কথা থাকলেও আমার টিউটরের একটায় কথা ছিল ‘যেতে পার তাতে কোন আপত্তি নেই। আমি তোমাকে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব কিন্তু ফেরার ব্যবস্থা করতে পারবনা কারন এখন চীনের বাইরে গেলে কিন্তু আর ফিরতে পারবেনা’। তাই এগিয়ে গিয়েও আবার পিছিয়ে এসেছি। কিন্তু অতি সম্প্রতি চীনের ‘গোয়াংডং’ প্রদশের রাজধানী ‘গুয়াংজু’ তে একটা কনফারেন্সে গিয়েছিলাম। সাথে ছিল আমার টিউটর এবং ল্যাবমেট। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পরে ফুজিয়ান প্রদেশের বাইরে ভ্রমন তাও আবার করোনাকালিন সময়ে একটু হলেও মনের ভিতর ভয় কাজ করছিল। সেইসাথে করোনাকালীন সময়ে চীনা প্রশাসনের নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপ ও আমাকে অনেক বেশি অবাক করেছিল। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে চীনে করোনাকালিন ভ্রমণের কিছু বিষয় তুলে ধরলাম।
যাওয়ার আগে আমাদের
ইন্টারন্যাশনাল কলেজের নোটিশ অনুযায়ী সাধারণ ছুটির ফর্মের পাশাপাশি আরও একটি বাড়তি
ছুটির ফর্ম জমা দিতে হয়েছিল। কারন হিসেবে বলা যায়, করোনাকালীন সময়ে বাইরে ভ্রমণের
প্রতি বেশ কড়াকড়ি এখানে এখনো বহাল আছে। যেখানে ছুটির ফর্মে আগে শুধুমাত্র একাডেমিক
কলেজের স্ট্যাম্প নিলেই চলত সেখানে এখন বাড়তি যুক্ত হয়েছে আরও কয়েক জনের স্বাক্ষর
এবং স্ট্যাম্প। অন্য প্রদেশে ভ্রমণের জন্য করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক। তাই যাত্রা
শুরুর আগের দিন আমি এবং আমার ল্যাবমেট করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের
পাশেই অবস্থিত একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।