পুলিশের সাথে একটি দিন ও কিছু অভিজ্ঞতা
অজয় কান্তি মণ্ডল: অক্টোবর মাস, দুর্গা পূজা আসন্ন। অফিস থেকে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৬ দিনের ছুটি পেলাম। আশা ছিল সেবারের পূজা একটু ভালোভাবেই উদযাপন করব। কেননা, বিয়ের পরে ওটাই ছিল পরিবারের সাথে প্রথম পূজা। সেভাবেই পরিকল্পনা করে ঢাকা থেকে রাতের গাড়ীতে পূজার সপ্তমীর দিন ভোরে বাড়ি পৌঁছালাম। রাতের ভ্রমন একটু হলেও কষ্টকর তাই বাড়ী ফিরে নাস্তা সেরে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। দুপুরের খাবার প্রস্তুত হওয়ার পরেই মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙল। খাবার টেবিলে বসতেই মোবাইলে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন। রিসিভ করে হ্যালো কে বলছেন প্লিজ! বলতেই অপর প্রান্ত হতে উত্তর আসলো- হ্যালো! আস্সালামুয়ালাইকুম, আমি আশাশুনি (আমাদের থানার নাম) থানার সাব ইন্সপেক্টর (এস. আই) অমুক বলছি। আপনি অজয় কান্তি মন্ডল বলছেন?
আমি একরকম আকাশ থেকে পড়লাম। ঘুমের রেশ এখনো ভালোভাবে
কাটেনি তার উপর পুলিশের ফোন। আচমকা একটু বিব্রত হওয়াটায় স্বাভাবিক। তার পরেও
নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করে যথাসম্ভব বিনয়ের সুরে উত্তর দিলাম
-হ্যাঁ, বলেন। কেমন আছেন? কোন সমস্যা?
-না, কোন সমস্যা না। আপনার চাকুরীর স্থায়ীকরনে পুলিশ
ভেরিফিকেশনের জন্য আমাদের কাছে মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। আপনার পড়ালেখার যাবতীয়
সার্টিফিকেট সহ কালকের ভিতর থানায় এসে আমার সাথে দেখা করবেন।
এতক্ষনে বুঝলাম। স্বভাবতই সরকারী চাকুরী স্থায়ীকরনের
আগে পুলিশ ভেরিফিকেশানের মাধ্যমে চাকুরী প্রার্থীর যাবতীয় তথ্য যাচাই বাছাই করা
হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান এই কাজটি চাকুরীর নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির আগে করে থাকে আবার
অনেক প্রতিষ্ঠান যোগদানের পরে করে থাকে। আমার অফিস পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজটি
যোগদানের ছয় মাসের মধ্যে করে থাকে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমি চাকুরীতে যোগদান করি
এবং ছয়মাসের মাথায় পুলিশ ভেরিফিকেশন সাথে সন্তোষজনক শিক্ষানবিস কাল শেষ হওয়ায়
চাকুরি স্থায়ী হয়। আজ শেয়ার করব পুলিশ ভেরিফিকেশানের কিছু মজার এবং তিক্ত
অভিজ্ঞতাঃ
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।