সাধের ম্যারেজ সার্টিফিকেট
অজয় কান্তি মন্ডল: চীনে আসার পর ফ্যামিলি আনার ব্যাপারে জানতে পারলাম পাসপোর্টের সাথে ম্যারেজ
সার্টিফিকেট এবং বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন লাগবে এবং সেটা চাইনিজ অ্যাম্বাসি থেকে সত্যায়ন করতে হবে। যেহেতু হিন্দু বিবাহ রীতিতে বিবাহের সময়ে রেজিস্ট্রেশনের কোন বাধ্যবাধকতা ছিলনা তাই বিয়ের ৬ বছর পরে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করলাম। অভিজ্ঞ অন্যদের থেকে তথ্য নিয়ে জানতে পারলাম ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে (১০০ টাকার দুই পৃষ্ঠা) এফিডেফিট করলেই হবে। এফিডেফিট করলাম যে আমি অমুক, অমুক তারিখে অমুক কে উভয়ের
সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন করি এবং সুখে
শান্তিতে বসবাস করে আসছি ব্লা ব্লা ব্লা... এবং আমাদের একটি কন্যা সন্তান আছে।
এরপর সেটা নিয়ে নোটারি করালাম। নোটারাইজ
অফিসার লাল রঙের শাপলা ফুলের আকৃতির লাল টকটকে একটা চিহ্ন মেরে দেওয়ার পাশাপাশি
দুই পৃষ্ঠা জুড়ে আরও বেশ কয়েকটা ছিল ছপ্পর দিল। মনে মনে অনেক শান্তি পেলাম এটা
ভেবে যে অবশেষে ম্যারেজ সার্টিফিকেটে বেশ কয়েকটা অফিসিয়াল সিল-ছপ্পর পড়েছে। সময়
হাতে না থাকায় নোটারাইজেশানের কাজটুকু করে আমি চীনে চলে আসি।
এবার মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করার পালা। মন্ত্রণালয় নামটা শুনলেই কেন জানিনা
মনের ভিতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে। হতে পারে সেটা গর্বে আবার হতে পারে কিছু কিছু
মন্ত্রণালয়ের নিম্ন শ্রেনির বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সামান্য ব্যাপার নিয়ে হাইকোর্ট
দেখানোর ইঙ্গিত নিয়ে। যেটাই মনে হোক না কেন, মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্হ হওয়া ছাড়া এখন
আর উপায় নেই।
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।