চাইনিজ বাড়িওয়ালার গল্প
অজয় কান্তি মন্ডলঃ প্রায় আড়াই বছর আগের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী চীনে
পরিবার নিয়ে আসার আগে ক্যাম্পাসের বাইরে বাসা নিই। কেননা, ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরিতে স্ব-স্ত্রীক কিছুদিন থাকা গেলেও বাচ্চা নিয়ে থাকার
নিয়ম নেই। তাই ক্যাম্পাসের বাইরে বাসা নিয়ে
দুইমাসের গরমের ছুটিতে দেশে যাওয়া। ছুটি কাটিয়ে দেশ থেকে অন্তু (আমার মেয়ে) ও ওর
মাকে নিয়ে চীনে ফিরলাম। প্রায় দুইদিনের যাত্রার ইতি টেনে যখন বাসায় পৌঁছালাম তখন
ক্লান্তিতে সবার নাজেহাল অবস্থা। রুমের চাবি খুলে
ভিতরে প্রবেশ করতেই আমার স্ত্রী’র দীর্ঘশ্বাস, আর অন্তু বাসার মেঝেতেই বসে পড়ল। অন্তু
প্রথম দেখাতেই বলে এ বাসায় ও থাকবেনা। কারন, বাসা তাদের মনোগত হইনি। বাসাটা অতটা
আধুনিক ছিলনা সেটা আমি ভাড়া নেওয়ার আগেও তাদেরকে ভিডিও করে দেখিয়েছিলাম। কিন্তু
দেশে যাওয়ার আগে সময়ের স্বল্পতার কারনে তাড়াহুড়োর ভিতরে এর থেকে সুন্দর বাসা
ম্যানেজ করা আমার পক্ষে কষ্টকর ছিল। কেননা, চীনা ভাষার দক্ষতা ছাড়া চীনাদের সাথে
যোগাযোগ বেশ কঠিন। তাছাড়া বিদেশী দেখলে অনেক চীনারা বাসা ভাড়া দিতে চায়না। বিদেশী ভাড়াটিয়াদের
সাথে শুধুমাত্র কমিউনিকেশনের সমস্যা ভেবে বাড়ী ওয়ালারা পিছিয়ে আসে। আমার ক্ষেত্রে ও
তেমনটা হয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রে এখানকার মেডিকেলের
ছাত্র ‘হাসান’ অনেক বেশি সাহায্য করেছিল। হাসানের সাথে দুই তিন দিন
খোঁজ করার পরে বর্তমান এই বাসাটির সন্ধান পেয়েছিলাম।
৭৫ বর্গমিটার আয়তনের বাসাটির দুই বেড রুম, দুই পাশে দুই বারান্দা, কিচেন, টয়লেট, ডাইনিং ড্রয়ং সবই আছে। একটু পুরানো গোছের হলেও বাসার সকল আসবাপ পত্র যেমনঃ দুই রুমেই বেড, এয়ার কান্ডিশন, টিভি, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার, রান্নাঘরের সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা আছে। শুধু সমস্যাটা হল ফ্লোরে টাইলস নেই। আমরা ঢাকায় যে বাসায় ছিলাম সেটি বেশ আধুনিক ছিল। কিন্তু বিদেশে এসে তার চেয়ে নিন্ম মানের অর্থাৎ মেঝেতে টাইলস ছাড়া বাসায় থাকতে হবে বিষয়টা মেনে নিতে আমাদের সবারই একটু কষ্ট হচ্ছিল। তার পরেও একটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই মালিকের সাথে সবকিছু চূড়ান্ত করেছিলাম। আমা
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।