ঈদুল ফিতর বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ
একটি বছর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পবিত্র মাহে রমজানের আগমন ঘটে।দেখতে দেখতে পবিত্র মাস চলেও যায়।পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদের একটি ঝলকানি দেখার জন্য পুরো মুসলিম উম্মাহ অপেক্ষায় থাকে । যথা সময়ে ঈদ পালন করতে সবাই মেতে থাকে বর্ণাঢ্য ঈদ আয়োজনে।ঠিক তেমনি দেশে-বিদেশে সব জায়গায় আনন্দের কমতি থাকে না । যদিও বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা নিজ পরিবার,নিজ সমাজ,নিজ সংস্কৃতি এবং নিজ দেশকে অনেক বেশি স্মরণ করে থাকেন।
আগামীকাল গণচীনে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ নিয়ে চীনে অবস্থানরত সকল মুসলিমদের মধ্যে চলছে ঈদের পূর্ব প্রস্তুতি।ঈদের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে অধ্যায়নরত একজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বলেন, উচ্চশিক্ষা গ্রহণে নিমিত্তে চীনে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি অনেকগুলো ঈদ উদযাপন করেছেন। প্রতিবছরের মত এবারও চিনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উদযাপনের পূর্ব প্রস্তুতি চলছে । ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে রেডি হয়ে কিছু মিষ্টান্ন গ্রহন করে চলে যাই ঈদের নামাজ পড়তে। নামাজ শেষে বাঙালি কমিউনিটির সবার সাথে কুশল বিনিময়ে এবং কোলাকুলি যেন স্মরণ করিয়ে দেয় আমরা চীনের মাটিতে এক খন্ড বাংলাদেশ নিয়ে বসবাস করছি। সেই সাথে পুরো দিনভর বাঙালি কমিউনিটি কে নিয়ে আমোদ ফুর্তি এবং বিভিন্ন বর্ণাঢ্য আয়োজন করে সারাদিন মাতিয়ে থাকেন আনন্দ উৎসবে।
আবার অনেকের ভিতর ঈদ নিয়ে একপ্রকারের চাপা কষ্ট অনুভব করতেও দেখা গেছে। সিচুয়ান ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আগামীকালের ঈদ নিয়ে প্রস্তুতি কি? তার উত্তরে শুধু একটা কথায় বলে যারা প্রবাসে থাকে ঈদ আসলে তাদের জন্য না। আসলেই সবার স্বপ্ন বাড়ি না।পরিবার পরিজন থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করেও ঈদ গুলো ভরে উঠুক আনন্দে। পবিত্র ঈদুল ফিতর বয়ে নিয়ে আসুক আমাদের জীবনের আনন্দময় মুহূর্ত সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি এবং প্রফুল্ল জীবন।
Arif
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।