নভেম্বরই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চীনা ভ্যাকসিন
মোহাম্মদ সাগর হোসেন; গাজী তৌফিক এজাজঃ ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এর মতে, বিশ্বজুড়ে ৩০ টিরও বেশি ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে চলছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানো নয়টি প্রতিষ্ঠান তিনটি ধাপ সম্পন্ন করেছে, যার পাঁচটিই হল চীনা প্রতিষ্ঠান।
সিডিসির (CDC) প্রধান বায়োসেফটি বিশেষজ্ঞ উ গুজেন বলেছেন, ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলি দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ডঃ উ জানান যে তিনি এপ্রিলে নিজের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করেছিলেন এবং সেই থেকে বেশ ভাল অনুভব করেছেন। তাছাড়া, তার শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর শীর্ষস্থানীয় এক বিজ্ঞানীর মতে, নভেম্বর বা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন চীনারা গ্রহন করতে পারবে। চীনের একমাত্র জাতীয় টিভি চ্যানেল সিসিটিভি দ্বারা সোমবার রাতে প্রদর্শিত একটি প্রোগ্রামে সিডিসির প্রধান বায়োসেফটি বিশেষজ্ঞ ডঃ উ বলেছেন, বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সুগঠিতভাবে চলছে এবং বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে, তিনি নিজেই কয়েকটি পরীক্ষামূলক গ্রুপে যোগ দিয়েছিলেন এবং এপ্রিলে একটি করোনাভাইরাস নিজদেহে শ্যুট করেছিলেন। গত কয়েক মাস তিনি বেশ ভালো অনুভব করছেন এবং তার অস্বাভাবিক কিছু হয়নি।
ডঃ উ বলেছেন, ভ্যাকসিন প্রার্থীদের কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা সম্পর্কে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, আমরা আশা করি যে, ভ্যাকসিনগুলি এক থেকে তিন বছরের জন্য কার্যকর থাকবে। তবে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য আরও দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণ করা দরকার। বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়ে উ বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সুবিধাগুলির সক্ষমতা মূল্যায়ন করছেন। দু'টি পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে এবং তৃতীয়টির মূল্যায়নের কাজ চলছে।
এদিকে গত মাসে প্রচারিত সিসিটিভির একটি সাক্ষাৎকারে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ঝেং ঝংওয়ে বলেছেন, চীন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সর্বপ্রথম চিকিৎসাকর্মী ও প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের শরীরে প্রয়োগ করবে।
তিনি বলেন, "অনাক্রম্যতা বাধা" তৈরির লক্ষ্যে যাতায়াত ও সেবা শিল্পে কাজ করা লোকদের এই টীকা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, যাদের শরীরে প্রাথমিক ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে কেউই জ্বরে আক্রান্ত হননি এবং মাত্র কয়েক জনের শরীরে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সংক্রমণের সম্ভাব্য পুনরুত্থানের
বিষয়ে সতর্ক করার পরে দুই মাসের অল্প সময়ের মধ্যে চীনে একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে
পারে এমন খবর সোমবার ডব্লিউএইচওর দ্বারা প্রকাশিত হয়। উও বলেছেন
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।