
বাংলাদেশ ও চীনের ৫০ বছরের বন্ধুত্বে নতুন মাত্রা: সিনহুয়া সংবাদ সংস্থায় যুব প্রতিনিধি দলের মতবিনিময়।

চীন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, প্রাচীন সিল্ক রোড দুই দেশকে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত
করেছে। ১৯৭৫ সালের ৪ অক্টোবর চীন ও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক
স্থাপন করে। অর্ধশতাব্দী ধরে উভয় দেশ
একে অপরকে সমর্থন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীন দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতি, বাণিজ্য, সংস্কৃতি, টেকসই উন্নয়ন,
প্রযুক্তি ও পরিবেশ রক্ষাসহ নানামুখী খাতে যৌথ সহযোগিতা করে আসছে, যার ফলে দুই দেশই
উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। চীন বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী
ও বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, অবকাঠামো
উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে
চীন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে।এই বহুমাত্রিক অংশীদারিত্বের ফলে দুই
দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং হৃদ্যতা আরও গভীর হয়েছে। ব্যবসা,
শিক্ষা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং গণমাধ্যম সংযোগ ক্রমশ বাড়ছে, যা দুই দেশের বন্ধুত্বকে
আরও আন্তরিক ও টেকসই করে তুলছে।
দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্কও ক্রমাগত সম্প্রসারিত
হচ্ছে; চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ, এবং বাংলাদেশও চীনের বাজারে রপ্তানি
বৃদ্ধির সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে চীনা ভাষা শিক্ষা, বৃত্তি, উচ্চশিক্ষা
ও গবেষণা বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে দু’দেশের ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে সম্পর্ক
ঘনিষ্ঠ হয়েছে। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ছে। চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক
ও যুব বিনিময়ের অংশ হিসেবে গত ১৩ জুন বিকেলে বাংলাদেশের তরুণ প্রতিনিধি দল এবং গুয়াংডং
বিদেশি ভাষা ও বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র শিক্ষা একাডেমির প্রতিনিধিরা
‘লিয়াওওয়াং শিন শিদাই’ (নতুন যুগকে পর্যবেক্ষণ) ম্যাগাজিন অফিসে মতবিনিময় সভায়
অংশগ্রহণ করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থা নামে পরিচিত। সভায় শিনহুয়া
সংবাদ সংস্থার সভাপতি ওয়াং জুনঝেংসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার সভাপতি ওয়াং জুনঝেং বাংলাদেশের
তরুণ প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালে চীন-বাংলাদেশ
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে এবং এ বছরটিকে “চীন-বাংলাদেশ মানবসম্পদ বিনিময়
বর্ষ” হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বহু বছর ধরে বোঝাপড়া
ও বন্ধুত্ব ক্রমশ গভীর হয়েছে। যুবসমাজ হলো সভ্যতাগত পারস্পরিক বোঝাপড়ার প্রধান চালিকাশক্তি,
যারা ‘ভিন্নতা সত্ত্বেও ঐক্য’কে সম্মান, অন্তর্ভুক্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি
থেকে মূল্যায়ন করতে সক্ষম। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সংস্কৃতিকে প্রশংসা,
পারস্পরিক শিক্ষা এবং গ্রহণযোগ্যতার মানসিকতা নিয়ে গ্রহণ করে থাকে। তিনি আরও বলেন,
“আমরা আশা করি, এই মতবিনিময় কার্যক্রম একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে, যার মাধ্যমে
আরও বেশি বাংলাদেশি যুবক চীনকে জানবে ও বুঝবে। এতে বিশ্বসভ্যতার বিনিময় এবং পারস্পরিক
বোঝাপড়ায় যুবশক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবদান নিশ্চিত হবে।
গুয়াংডং বিদেশি ভাষা ও বাণিজ্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র শিক্ষা একাডেমির শিক্ষক ঝাং চি বলেন যে, গুয়াংডং প্রদেশ সর্বদা উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক
এবং উদ্ভাবনী মনোভাব নিয়ে সারা বিশ্ব থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদেরস্বাগত জানায়।
গুয়াংডং বিদেশি ভাষা ও বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয় তার বহু-বিষয়ক এবং বহু-ভাষা
সুবিধার পূর্ণ ব্যবহার করে চীন ও বিদেশের মধ্যে বিনিময়কে উৎসাহিত করার জন্য
বহুমুখী, উদ্ভাবনী এবং আন্তর্জাতিক প্রতিভা বিকাশে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আশা করেন যে এই বিনিময় কার্যক্রম বাংলাদেশি যুবকদের চীনের
সামাজিক উন্নয়নের সাফল্য সম্পর্কে আরও জানতে এবং লিংনান সংস্কৃতির আকর্ষণ অনুভব
করতে সাহায্য করবে, যা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের আরও উন্নয়নে
জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করবে।
মুক্ত আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের যুবকরা এবং শিনহুয়া
সংবাদ সংস্থার আন্তর্জাতিক সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক তথ্য বিনিময় এবং মিডিয়া যোগাযোগ
বিষয়ে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে সভার পরিবেশ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা ক্লিয়া
ওডেলিয়া, যিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছেন, প্রথমে চীনে তার অধ্যয়ন, কর্ম এবং জীবনযাত্রার
অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিনিময় এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুবসমাজ
মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে। শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক হিসেবে কাজের সময় তিনি
শুধু সমমনা অংশীদারদের সাথেই পরিচিত হননি, বরং বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক
বিনিময় কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
তিনি জানান, “এটি কেবল আমার দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করেনি, বরং বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি
আমার জ্ঞান ও বোঝাপড়াকেও আরও সমৃদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকার সাংবাদিক
(আব্দুল্লাহ) মো. আব্বাস আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি প্রচারে তার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার
করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পটভূমি
থাকে এবং মিডিয়াগুলোর মধ্যে বিনিময় বহু সংস্কৃতির সংঘাত ও সংহতির সুযোগ সৃষ্টি করে।
মো. আব্বাস বলেন, “চীনা সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের এবং গভীর তাৎপর্যপূর্ণ, আমরা চীনকে আরও
গভীরভাবে চিনতে ও বুঝতে আগ্রহী।”
বাংলাদেশ থেকে আসা মো. সাইফুল ইসলাম, যিনি স্থানীয়
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ডেইলি ক্যাম্পাস’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, এই বিনিময় কার্যক্রমে অংশগ্রহণের
আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি মিডিয়ার আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি প্রচার ও বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, “সংবাদ বিভিন্ন দেশের ভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমির বন্ধুদের
একত্রিত করে এবং বহুসংস্কৃতির বিনিময়ের সুন্দর গল্পগুলো একসঙ্গে উপস্থাপন করতে সক্ষম।”
চায়না মিডিয়া গ্রুপের ফিচার এডিটর ফাইসাল মো. আব্দুল্লাহ
শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার বিষয়ে জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক
সাংস্কৃতিক বিনিময়ে যুবকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশি যুবকদের
মধ্যে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক নির্মাণ ও পর্যটন উন্নয়ন সম্পর্কে ব্যাপক
আগ্রহ রয়েছে এবং এই বিনিময় কার্যক্রম তাদের চীন সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সহকারী সম্পাদক মো. নাসিমুল
হুদা বলেন, “সংবাদ মাধ্যমগুলো দেশগুলোর মধ্যে মানবসম্পদ বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। এই বিনিময় সুযোগটি
খুবই বিরল, যা কেবল চীন সম্পর্কে আমাদের আরও গভীর জ্ঞান
দেয়নি, বরং চীন ও বিদেশি যুবকদের মধ্যে পারস্পরিক
বিনিময় ও শেখার সুযোগও তৈরি করেছে।
মুক্ত আলোচনা পর্ব শেষে লিয়াওশিন সংবাদ সংস্থার
সভাপতি ওয়াং জুনঝেং এবং বাংলাদেশ যুব নেতা প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধি অধ্যাপক মো.
রাকিবুল হক একে অপরের সাথে উপহার বিনিময় করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, চীনে এই বিনিময় কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হবে
এবং দুই দেশের যুবকরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নতুন
দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এরপর প্রতিনিধি দলটি শাইমিয়ান ট্যালেন্ট
রিক্রিয়েশন আইল্যান্ডে
(বর্তমানে শামিয়ান দ্বীপ নামে পরিচিত) পরিদর্শন করেন। "খোলা আকাশের জাদুঘর" নামে পরিচিত
শামিয়ান দ্বীপ কেবল গুয়াংজুতে আধুনিক বাণিজ্যিক উন্নয়নের পরিবর্তনই দেখেনি, বরং এটি চীন ও পশ্চিমা সংস্কৃতির আদান-প্রদান ও সংঘাতের ঐতিহাসিক
স্মৃতিও বহন করে, যার গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন যে, এই সফরে তারা লিংনান সংস্কৃতি এবং গুয়াংজু শহরের সামাজিক অবস্থা
সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান লাভ করেছেন। বাংলাদেশ যুব নেতা প্রতিনিধি দলের নেতা
অধ্যাপক মো. রাকিবুল হক বলেন,
"বাংলাদেশে ৪ কোটি ৬০
লাখ যুবক আছে, যুবকরা প্রাণবন্ত এবং পরিবর্তনের চালিকা শক্তি, তারা দেশের ভবিষ্যতের স্তম্ভ। তিনি বলেন, "চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে
উভয় দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যে ইতোমধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা গড়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে
আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরও প্রসারিত করে দুই দেশের যুবকদের মানবিক যোগাযোগ জোরদার
করতে চাই।“
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি
জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদককে বলেন, "আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ নিয়ে পড়াশোনা
করেছি।" তিনি বলেন,
"আমি মনে করি মিডিয়া
যুব বিনিময় ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার
জানামতে, চীন সাম্প্রতিক
বছরগুলিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করেছে। তাই আমি আশা করি দুই দেশ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে তাদের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা আরও শেয়ার করতে পারবে, যা বন্ধুত্ব বৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।"
‘একতাই জনগণ’ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের কেন্দ্রীয়
সদস্য দিলওয়ার হাসান জানান, এটি তার প্রথম বিদেশ যাত্রা। চীনের খাবার, ঐতিহাসিক স্থাপত্য
এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সব মিলিয়ে এই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি বর্তমানে
চীনা সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করছি, যা আন্তর্জাতিক
বিষয়ে আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সহায়ক হবে।“
এই মতবিনিময় ও সাংস্কৃতিক সফর দুই দেশের যুবকদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সেতুবন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির এই দিনে, এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। যুবসমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণই এই সম্পর্ককে আরও টেকসই ও গতিশীল করবে বলে সবাই দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।