এনসিপি ডায়াস্পোরা এলায়েন্স - চীনের উদ্যোগে বেইজিং-এ পালিত হলো “রিমেম্বারিং আওয়ার জুলাই হিরোস” প্রোগ্রাম
গত (২৮ আগস্ট ২০২৫) এনসিপি ডায়াস্পোরা এলায়েন্স - চীনের উদ্যোগে বেইজিং-এ পালিত হলো “রিমেম্বারিং আওয়ার জুলাই হিরোস” প্রোগ্রাম।
এই অনুষ্ঠানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসিন রিয়াজ এবং এনসিপি ডায়াস্পোরা এলায়েন্স - চীনের প্রতিনিধিরা অনলাইন ও অনুষ্ঠানস্থলে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রবাসী সামাজিক সংগঠন, বিশিষ্টজন ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণও ছিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও ফুল দিয়ে অতিথিদের বরণ করা হয়।
এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন দেশে উত্তাল সময়ে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স শাটডাউন কর্মসূচি ও ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং শহীদ ও পঙ্গুত্ববরণকারী জুলাই হিরোদের মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন।
এনসিপির আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলামও প্রবাসীদের ভূমিকাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। বিশেষ করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবাসীদের প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে যে বৈশ্বিক জনমত গড়ে উঠেছিল, তা দেশের গণঅভ্যুথানকে সফল করতে সহযোগিতা করেছে বলে মত দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর অঞ্চল ও ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও এনসিপি ডায়াস্পোরাকে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে এবং প্রবাসীদের বাংলাদেশ পুনর্গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক জনাব নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, চীনের মতোই প্রবাসীরা দেশে ফিরে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারে এবং বাংলাদেশী প্রবাসীদেরও রাষ্ট্রের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে বলেন।
এনসিপি মুখ্য সংগঠক জনাব সারজিস আলম এতো বড় একটি প্রোগ্রাম আয়োজন ও সবার সাথে মতবিনিময় করার সুযোগকে আত্মিক প্রশান্তি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, যেভাবে জুলাইয়ের সময় দেশ-বিদেশের সব বাংলাদেশী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, তেমনি ব্যক্তিগত স্বার্থ বা সুবিধা দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সকলকে কাজ করতে প্রস্তুত থাকার কথা বলেন।
বাংলাদেশ-চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিসিওয়াইএসএ)-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জান্নাতুল আরিফ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শামশুল হক দেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা ও সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন।তারা তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও রাষ্ট্র গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। তারা মত প্রকাশ করেন যে,জুলাই হিরোদের আত্মত্যাগ শুধু বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তি মজবুত করেনি, বরং তরুণ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার দিশারী হয়ে থাকবে। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বৈশ্বিক অগ্রযাত্রায় চীনস্থ শিক্ষার্থীরা জ্ঞান, দক্ষতা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করবে এবং বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এনসিপি ডায়াস্পোরা এলায়েন্স - চীনের চিফ কো-অর্ডিনেটর সাদ্দাম হোসাইন জুলাই শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ডায়াস্পোরা কমিউনিটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ভাষা, সংস্কৃতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাবেন।
এরপর প্রবাসীদের প্রশ্নোত্তর পর্বে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। জুলাইয়ের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত এবং গ্রুপ ফটোসেশন, ডিনার পরিবেশন ও এনসিপি ডায়াস্পোরা এলায়েন্স - চীনের মো: শাওন পারভেজ, মো: আরিফ সালেহ তাসিন, খন্দকার রিয়াজুল জান্নাত, মো: তৌহিদুল ইসলাম, নুহু ইবনে শহিদ ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ও সংগঠনের সদস্যদের ফান্ডিং-এ প্রোগ্রামের সফল সমাপ্তি হয়েছে।
Arif
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : news.bcysa@outlook.com।