চীনের লানজু শহরে মুসলিমদের জীবন
ফারজানা লিজাঃ চীনে আসার আগে সবচেয়ে নেতিবাচক যে বিষয়টি সম্পর্কে সবার মুখে শুনেছি তা হলো একজন মুসলিম হিসেবে এখানে জীবনযাপন অনেক কঠিন। যেহেতু স্থায়ীভাবে বসবাস নয়, পড়াশোনার কারণে আসতে হয়েছে তাই অনেকটা অন্যের কথাকে পাশ কাটিয়ে উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের জন্য চলে এসেছিলাম দেশ ছেড়ে।
বেশ খানিকটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব মনে শুরু হলো চলার পথ। কিন্তু এখানে আসার পর থেকে ধারণা অনেকটাই পাল্টে গেল নিজ চোখে দেখে। আমার বসবাস চায়নার খুব পরিচিত জনপ্রিয় নগরী লানজু(Lanzhou) সিটিতে। যেটা একদিকে যেমন মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশ, অন্যদিকে এ নগরেই রয়েছে চায়নার সেই বহুল আলোচিত হোয়াংহো নদী বা Yellow River.
ভেবেছিলাম হয়তো আমি মুসলিম প্রভিন্সে আছি তাই ধর্ম পালন বা হালাল খাবারের সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু চায়নাতে বসবাস করছে অন্য প্রভিন্সের এমন অনেক বাংলাদেশীদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম কেউ অন্তত এখন পর্যন্ত ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়নি। এমনকি হালাল খাবার পেতেও অসুবিধা হয় না।
যতটুকু গুগল করে তথ্য পেয়েছি, চীনে ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় স্থান কিংবা মসজিদের সংখ্যা এদেশের পাঁচটি ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ৩৯ হাজারেরও অধিক। চীনের মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। এদেশের ৩৪টি প্রদেশ এবং অঞ্চলের মধ্যে অনেক প্রদেশেই মুসলমান রয়েছে। তবে প্রধানত সিনচিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, কানসু/গানসু প্রদেশ, নিংসিয়া হু জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও ছিংহাই প্রদেশে রয়েছে। চীনের দশটি সংখ্যালঘু জাতির মানুষ ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করে।

আমার দেখা বিশ্বের অসংখ্য মুসলিম দেশের
মানুষের বসবাস এখানে। পড়াশোনা, চাকরি বা ব্যবসা-বানিজ্যের কারণে এরা মূলত চীনে আসে। অন্যান্য
অনেক নন-মুসলিম দেশের পাশাপাশি পাকিস্তান, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, সুদান, তাজাকিস্তান,
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
news.bcysa@outlook.com।